ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নির্বাচন পরবর্তী কলহের জেরে সংঘর্ষে আহত-৪, নিহত-১, গ্রেপ্তার-৩

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

আল-আমিন, নিউজ রাইটার: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপ-নির্বাচনের কলহ ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক এমদাদুল হক মিলন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুেবরণ করেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪জন।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল হক বেবিন, নজরুল ইসলাম ও চাঁন মিয়ার ছেলে সাদা মিয়া। নিহত এমদাদুল হক মিলন ঘাগড়া সরকার পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে। আহত এমদাদুল হক মিলন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুেবরণ ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ মার্চ হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বারের মৃত্যুতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুরুজ আলী ও বাহাদুর মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। উক্ত নির্বাচনে সুরুজ আলী বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু সুরুজ আলীর সন্দেহ নিহত এমদাদুল হক মিলনরা তাকে ভোট দেয়নি।

এ জিদে সাইন্ড বক্স বাজিয়ে তাদেরকে বিরক্ত করে সুরুজ আলী মেম্বারের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সে সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এমদাদুল হক মিলনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরপর মিলন ও তার ভাইয়েরা কাজের যোগদানের উদ্দেশে ঢাকায় চলে যায়। তারা ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসলে সুরুজ মেম্বারের লোকজন তাদের উপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ১০এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলার তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে মঞ্জুরুল হক বেবিনের নেতৃত্বে এমদাদুল হক মিলনের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে বাচাঁতে এসে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার, শিশু নিরব মিয়া, ইয়ানুছ মিয়া, হাশর আলী আহত হয়। পরে আহত মিলনসহ অন্যদের প্রথমে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে পরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এবং মিলনসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমদাদুল হক মিলন মৃত্যুেবরণ করেন।

এ ঘটনায় মিলনের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার বাদী লাবনী আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে সুরুজ মেম্বার, বেবিনরা হত্যা করেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই। সন্ত্রাসী খুনিদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আদার সেকশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটিই এখন হত্যা মামলা হিসেবে গন্য করক হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ ঘটনার প্রধান আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নির্বাচন পরবর্তী কলহের জেরে সংঘর্ষে আহত-৪, নিহত-১, গ্রেপ্তার-৩

আপডেট সময় : ০১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

আল-আমিন, নিউজ রাইটার: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপ-নির্বাচনের কলহ ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক এমদাদুল হক মিলন (৪২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুেবরণ করেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪জন।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ঘাগড়া সরকার পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মঞ্জুরুল হক বেবিন, নজরুল ইসলাম ও চাঁন মিয়ার ছেলে সাদা মিয়া। নিহত এমদাদুল হক মিলন ঘাগড়া সরকার পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে। আহত এমদাদুল হক মিলন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুেবরণ ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ মার্চ হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বারের মৃত্যুতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুরুজ আলী ও বাহাদুর মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। উক্ত নির্বাচনে সুরুজ আলী বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু সুরুজ আলীর সন্দেহ নিহত এমদাদুল হক মিলনরা তাকে ভোট দেয়নি।

এ জিদে সাইন্ড বক্স বাজিয়ে তাদেরকে বিরক্ত করে সুরুজ আলী মেম্বারের লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সে সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এমদাদুল হক মিলনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরপর মিলন ও তার ভাইয়েরা কাজের যোগদানের উদ্দেশে ঢাকায় চলে যায়। তারা ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসলে সুরুজ মেম্বারের লোকজন তাদের উপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ১০এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলার তেতুলতলা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে মঞ্জুরুল হক বেবিনের নেতৃত্বে এমদাদুল হক মিলনের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে বাচাঁতে এসে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার, শিশু নিরব মিয়া, ইয়ানুছ মিয়া, হাশর আলী আহত হয়। পরে আহত মিলনসহ অন্যদের প্রথমে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে পরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এবং মিলনসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমদাদুল হক মিলন মৃত্যুেবরণ করেন।

এ ঘটনায় মিলনের স্ত্রী লাবনী আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার বাদী লাবনী আক্তার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে সুরুজ মেম্বার, বেবিনরা হত্যা করেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই। সন্ত্রাসী খুনিদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আদার সেকশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটিই এখন হত্যা মামলা হিসেবে গন্য করক হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ ঘটনার প্রধান আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।