ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিতাঃ সিকলঘাটা গ্রাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

লেখকঃ মুহাম্মদ নুরুল কবির করিমী ।

সিকলঘাটা গ্রামটা মোর
হাজার শিকলে বাঁধা ,
শৈশব দিনের হাজার কথা
স্মৃতির মালায় গাঁথা ।

প্রভাত কালে সূর্য জাগে
গ্রাম করে ঝলমল ,
গ্রামবাসী সব জেগে উঠে
কতো সুর কোলাহল ।

সুবহেসাদিকে তাল কুড়াতাম
গ্রামের বন্ধুরা মিলে ,
ভর দুপুরে শাপলা তুলতাম
উত্তরের নল বিলে ।

লাঙ্গল জোঁয়াল গরু লয়ে
কৃষক যায় মাঠে ,
খোকা-খুকী কুরআন বুকে
মক্তব পানে ছোটে ।

নানান পেশা নানান কাজে
গ্রামের মানুষ যায় ,
গৃহিণীরা গৃহস্থালির কাজে
বড় আনন্দ পায় ।

আইয়ুবআলী সওদাগরের
বাজার বসে দিনে ,
প্রয়োজনীয় সওদা-পাতি
এখানে বেচে-কেনে ।

হাটের দিনে দুই আনাতে
মন্ডা মিঠাই নিতাম ,
কতো স্মৃতি গাঁথা বুকেতে
সে স্বাদ ফিরে পেতাম !

গ্রামে আছে জামে মসজিদ
যখন আজান হয় ,
মুসলিম সব কাতার বেঁধে
নামায রত রয় ।

বন্ধুরা মিলে বন-ভোজনে
যেতাম বিশেষ দিনে ,
মেলায় গিয়ে রঙিন খেলনা
আনন্দে নিতাম কিনে ।

বসন্ত দিনের বিকেল বেলা
গ্রামের সাথীরা মিলে ,
খেলতে যেতাম নদীর চরে
মাছ ধরতাম ঝিলে ,

বিকেল বেলা জমতো খেলা
চকরিয়া কলেজ মাঠে ,
সাঁঝের বেলা সূর্য্য ডোবে
মাতামুহুরীর ঘাটে ।

চাঁদনী রাতে গল্পের আসর
কতইনা মজার দিন ,
সিকলঘাট গ্রামের কাছে যে
আমার অনেক ঋণ ।

বর্ষাকালে মাতামুহুরির বুকে
জল থৈথৈ খেলা ,
উজানী ঢলে ডুবতো গ্রাম
বাড়তো মোদের জ্বালা ।

ছায়াঘেরা সবুজ গ্রামটা রে
বড় যে ভালোবাসি ,
কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলে
বারবার ছুটে আসি ।

এই গ্রামেরই সন্তান আমি
গর্বে যে বুকটা ভরে ,
জীবণ সূর্য নিববে একদিন
এই গ্রামে যাবো মরে ।

লেখার স্থানঃ কাপ্তাই ।
১৩০৮২০২৫.

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কবিতাঃ সিকলঘাটা গ্রাম

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

লেখকঃ মুহাম্মদ নুরুল কবির করিমী ।

সিকলঘাটা গ্রামটা মোর
হাজার শিকলে বাঁধা ,
শৈশব দিনের হাজার কথা
স্মৃতির মালায় গাঁথা ।

প্রভাত কালে সূর্য জাগে
গ্রাম করে ঝলমল ,
গ্রামবাসী সব জেগে উঠে
কতো সুর কোলাহল ।

সুবহেসাদিকে তাল কুড়াতাম
গ্রামের বন্ধুরা মিলে ,
ভর দুপুরে শাপলা তুলতাম
উত্তরের নল বিলে ।

লাঙ্গল জোঁয়াল গরু লয়ে
কৃষক যায় মাঠে ,
খোকা-খুকী কুরআন বুকে
মক্তব পানে ছোটে ।

নানান পেশা নানান কাজে
গ্রামের মানুষ যায় ,
গৃহিণীরা গৃহস্থালির কাজে
বড় আনন্দ পায় ।

আইয়ুবআলী সওদাগরের
বাজার বসে দিনে ,
প্রয়োজনীয় সওদা-পাতি
এখানে বেচে-কেনে ।

হাটের দিনে দুই আনাতে
মন্ডা মিঠাই নিতাম ,
কতো স্মৃতি গাঁথা বুকেতে
সে স্বাদ ফিরে পেতাম !

গ্রামে আছে জামে মসজিদ
যখন আজান হয় ,
মুসলিম সব কাতার বেঁধে
নামায রত রয় ।

বন্ধুরা মিলে বন-ভোজনে
যেতাম বিশেষ দিনে ,
মেলায় গিয়ে রঙিন খেলনা
আনন্দে নিতাম কিনে ।

বসন্ত দিনের বিকেল বেলা
গ্রামের সাথীরা মিলে ,
খেলতে যেতাম নদীর চরে
মাছ ধরতাম ঝিলে ,

বিকেল বেলা জমতো খেলা
চকরিয়া কলেজ মাঠে ,
সাঁঝের বেলা সূর্য্য ডোবে
মাতামুহুরীর ঘাটে ।

চাঁদনী রাতে গল্পের আসর
কতইনা মজার দিন ,
সিকলঘাট গ্রামের কাছে যে
আমার অনেক ঋণ ।

বর্ষাকালে মাতামুহুরির বুকে
জল থৈথৈ খেলা ,
উজানী ঢলে ডুবতো গ্রাম
বাড়তো মোদের জ্বালা ।

ছায়াঘেরা সবুজ গ্রামটা রে
বড় যে ভালোবাসি ,
কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলে
বারবার ছুটে আসি ।

এই গ্রামেরই সন্তান আমি
গর্বে যে বুকটা ভরে ,
জীবণ সূর্য নিববে একদিন
এই গ্রামে যাবো মরে ।

লেখার স্থানঃ কাপ্তাই ।
১৩০৮২০২৫.