ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ :
Logo ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে বকুলবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল Logo নড়াইলের লোহাগড়ায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান ও গণ অধিকার পরিষদের ইফতার ও আলোচনা সভা Logo কবিতা : ভিন্নরূপে নারী Logo ফ্যাসিস্ট মনোভাব ও অবৈধ টাকায় শান্তি আসে না : কর্নেল হক Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন গণঅধিকারের পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূর কে Logo কবিতা: আযাব থেকে মুক্তি Logo কবিতা: বই ঘ্রাণে Logo কবিতা: বঙ্গ জয়ী জিয়া Logo কবিতাঃ পুরুষ প্রিয়জন নয় Logo কবিতাঃ কান পেতে শুনে নিও Logo তুমিই কবিতা Logo চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo বেলনা ৭নং ওয়ার্ড এর এলাকাবাসী ইসকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মিছিল Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নামে কামরুল ও রাসেল সরকারের প্রতারণা Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপদেষ্টা হলেন খাজা ওসমান ফারুকী সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা  Logo ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে- কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম Logo ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার দর পর্যবেক্ষণ Logo খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবজাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে: মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক Logo কবিতা : আশ্বিনা বৃষ্টি Logo কবিতা : মুগ্ধ নামের ছেলেটি

প্রসংগঃ রাউজানে কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে

রাইটার: মুহাম্মদ নুরুল কবির করিমী। আজ ২৪ মে’ কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্ম দিন। আমাদের একজন প্রাক্তন প্রিয়ছাত্র নিশান চৌধুরী আগের লেখায় কমেন্টে অনুরোধ করেছে – রাউজান , রাঙ্গুনিয়াকে নিয়ে লিখতে। তাই কয়েকদিন আগে আমি নজরুল স্মৃতি বিজড়িত ঢেউয়া হাজি বাড়ী গিয়েছিলাম । তার অনুরোধ রক্ষায় ধারাবাহিক কয়েকটি পর্ব লিখতে চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ ।

প্রথমে রাউজানে প্রিয় কবি নজরুলঃ
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।
(জন্মঃ ১৮৯৯-মৃত্যু ১৯৭৬)
১৯৩৩ সালের ৭মে সম্ভবতঃ তিনি চট্টগ্রামের রাউজানে এসেছিলেন । কবি ১৯২৬-১৯৩৩ সালে মোট ৩বার চট্টগ্রামে এসে প্রায় ৭২দিনের মতো অবস্থান করেছিলেন ।

রাউজানে ধুমকেতুর সারথি কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগমন ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা ।
জনাব ইউসুপ চৌধুরীর বাড়িতে নজরুলকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল ।

বৃটিশ বিরোধী মহাবিপ্লবী কবি কাজি নজরুল ইসলাম রাউজানের ঢেউয়া হাজী বাড়ীর কুঁড়ে কাচারী ঘরে দু’রাত্রী ছিলেন ।
আড্ডা-গানে ভরিয়ে দিয়েছিলেন শত শত আগত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার তৃষিত হৃদয় ।

এখানকার তরুন সংঘের কন্ফারেন্স ও শিক্ষা সম্মীলনী অনুষ্ঠানে কবি হৃদয়গ্রাহী এক বক্তৃতা দিয়েছিলেন অতঃপর কবির বিখ্যাত ‘নারি’ কবিতা , ‘সাম্যবাদী’ কবিতা সহ আমাদের ‘রণ সঙ্গীত’

চল চল চল,
উর্ধে গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল…
সহ কয়েকটি কবিতা ও গান পরিবেশন করলে মুহুমুহু করতালীর সাথে দর্শক শ্রোতাদের মাঝে অভূতপূর্ব আবেগঘন পরিবেশের দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছিল ।

দু’দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্টান আয়োজন আর সমাবেশে শ্রীবর্ধণ করেছিলেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ সর্বজনাব বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্যসেন , কবি নবীন সেন , কবি দৌলত কাজি , হামিদ আলীর মতো প্রমূখ বরেণ্যজন ।

সেদিন রাউজানের রায় মুকুট দীঘির পাড়ের বিশাল প্রান্তর ছিল লোকে লোকারন্য । তরুন সংঘের কন্ফারেন্স ও শিক্ষা সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আগত কবিকে একনজর দেখা , তাঁর বক্তৃতা শোনা কবির কন্ঠে কবিতা-গান-গজল শুনতে মুহুর্তে হাজার-হাজার, লোকের জনস্রোত নেমেছিল । প্যান্ডেলের বাহিরেও কয়েকগুণ উপছেপড়া দর্শকের ভীড় ছিল ।

সম্বর্ধনা- ভালোবাসার এ অনুষ্ঠানে কবিকে দেখার জন্যে জনস্রোতের শৃঙ্খলা রক্ষায় শেষ-মেষ টিকেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছিল ।

কোন কবিকে এক নজর দেখতে টিকেট প্রয়োজন এটি বিশ্বে এক বিরল ঘটনা !

এ সময় গরু-ছাগল জবাই করে মহাকালের সারথি আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও আগন্তুকদের জন্যে চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজ্জানের আয়োজনও করা হয়েছিল ।

দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন খান বাহাদুর আবদুল মোমেন (চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার) ও আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্ঞানতাপস ডঃ এনামুল হক ।
বক্তৃতা করেন সর্বজনাবঃ হাবিবুল্লাহ বাহার , মাহবুবুল আলম , ওহিদুল আলম , কামাল উদ্দীন , আবুল ফজল , নজীর আহমদের মতো ব্যক্তিবর্গ ।

সম্মেলনের আয়োজকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন- যথাক্রমেঃ এডভোকেট অলি মিয়া চৌধুরী , ইউনুস চৌধুরী , মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী , হাফিজুর রহমান , আহমদ চৌধুরী সহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ।

কবি নজরুল ইসলামের “সিন্ধু হিল্লোল” কাব্যগ্রন্থে সে কথার কিছুটা উল্লেখ পাওয়া যায় ।

চট্টগ্রামে অবস্থান কালে কবি বিখ্যাত “চক্রবাক” কবিতা , “শীতের সিন্ধু” , “শিশু যাদুকর” , “আমার ভাঙা নায়ে যাত্রী না লয়” , “গোপন প্রিয়া”, “বাতায়ন পাশে গোবাক তরুর সারী” , “আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ” (বিখ্যাত কালজয়ী গান) “কর্ণফুলী , হে সিন্ধু ! বন্ধু মোর” , “মধুমালা”, “সাতভাই চম্পা”র মতো অমূল্য অনেক কবিতা সহ অসংখ্য রচনায় রাউজানকে বহু উর্ধস্থানে আসীন করে ইতিহাস করে যান কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।

রাঙামাটিকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন- অসাধারণ একটা গানঃ

গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ ,
আমার মন ভোলায় রে…

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও অনবদ্য এক সংগীত সৃষ্টি করলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রূপসী রাঙ্গামাটিকে নিয়ে । মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গানের জবাবে নজরুল তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া নিচের গানটি লিখে দিয়ে গেলেন।

গানঃ-
রাঙামাটির পথে লো…
বাজে মাদল বাজে বাঁশের বাঁশী ,
– বাজে মাদল বাজে বাঁশের বাশী…

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রসংগঃ রাউজানে কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।

আপডেট সময় : ০১:৪২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

রাইটার: মুহাম্মদ নুরুল কবির করিমী। আজ ২৪ মে’ কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্ম দিন। আমাদের একজন প্রাক্তন প্রিয়ছাত্র নিশান চৌধুরী আগের লেখায় কমেন্টে অনুরোধ করেছে – রাউজান , রাঙ্গুনিয়াকে নিয়ে লিখতে। তাই কয়েকদিন আগে আমি নজরুল স্মৃতি বিজড়িত ঢেউয়া হাজি বাড়ী গিয়েছিলাম । তার অনুরোধ রক্ষায় ধারাবাহিক কয়েকটি পর্ব লিখতে চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ ।

প্রথমে রাউজানে প্রিয় কবি নজরুলঃ
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।
(জন্মঃ ১৮৯৯-মৃত্যু ১৯৭৬)
১৯৩৩ সালের ৭মে সম্ভবতঃ তিনি চট্টগ্রামের রাউজানে এসেছিলেন । কবি ১৯২৬-১৯৩৩ সালে মোট ৩বার চট্টগ্রামে এসে প্রায় ৭২দিনের মতো অবস্থান করেছিলেন ।

রাউজানে ধুমকেতুর সারথি কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগমন ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা ।
জনাব ইউসুপ চৌধুরীর বাড়িতে নজরুলকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল ।

বৃটিশ বিরোধী মহাবিপ্লবী কবি কাজি নজরুল ইসলাম রাউজানের ঢেউয়া হাজী বাড়ীর কুঁড়ে কাচারী ঘরে দু’রাত্রী ছিলেন ।
আড্ডা-গানে ভরিয়ে দিয়েছিলেন শত শত আগত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার তৃষিত হৃদয় ।

এখানকার তরুন সংঘের কন্ফারেন্স ও শিক্ষা সম্মীলনী অনুষ্ঠানে কবি হৃদয়গ্রাহী এক বক্তৃতা দিয়েছিলেন অতঃপর কবির বিখ্যাত ‘নারি’ কবিতা , ‘সাম্যবাদী’ কবিতা সহ আমাদের ‘রণ সঙ্গীত’

চল চল চল,
উর্ধে গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল…
সহ কয়েকটি কবিতা ও গান পরিবেশন করলে মুহুমুহু করতালীর সাথে দর্শক শ্রোতাদের মাঝে অভূতপূর্ব আবেগঘন পরিবেশের দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছিল ।

দু’দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্টান আয়োজন আর সমাবেশে শ্রীবর্ধণ করেছিলেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ সর্বজনাব বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্যসেন , কবি নবীন সেন , কবি দৌলত কাজি , হামিদ আলীর মতো প্রমূখ বরেণ্যজন ।

সেদিন রাউজানের রায় মুকুট দীঘির পাড়ের বিশাল প্রান্তর ছিল লোকে লোকারন্য । তরুন সংঘের কন্ফারেন্স ও শিক্ষা সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আগত কবিকে একনজর দেখা , তাঁর বক্তৃতা শোনা কবির কন্ঠে কবিতা-গান-গজল শুনতে মুহুর্তে হাজার-হাজার, লোকের জনস্রোত নেমেছিল । প্যান্ডেলের বাহিরেও কয়েকগুণ উপছেপড়া দর্শকের ভীড় ছিল ।

সম্বর্ধনা- ভালোবাসার এ অনুষ্ঠানে কবিকে দেখার জন্যে জনস্রোতের শৃঙ্খলা রক্ষায় শেষ-মেষ টিকেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়েছিল ।

কোন কবিকে এক নজর দেখতে টিকেট প্রয়োজন এটি বিশ্বে এক বিরল ঘটনা !

এ সময় গরু-ছাগল জবাই করে মহাকালের সারথি আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ও আগন্তুকদের জন্যে চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজ্জানের আয়োজনও করা হয়েছিল ।

দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন খান বাহাদুর আবদুল মোমেন (চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার) ও আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্ঞানতাপস ডঃ এনামুল হক ।
বক্তৃতা করেন সর্বজনাবঃ হাবিবুল্লাহ বাহার , মাহবুবুল আলম , ওহিদুল আলম , কামাল উদ্দীন , আবুল ফজল , নজীর আহমদের মতো ব্যক্তিবর্গ ।

সম্মেলনের আয়োজকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন- যথাক্রমেঃ এডভোকেট অলি মিয়া চৌধুরী , ইউনুস চৌধুরী , মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী , হাফিজুর রহমান , আহমদ চৌধুরী সহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ।

কবি নজরুল ইসলামের “সিন্ধু হিল্লোল” কাব্যগ্রন্থে সে কথার কিছুটা উল্লেখ পাওয়া যায় ।

চট্টগ্রামে অবস্থান কালে কবি বিখ্যাত “চক্রবাক” কবিতা , “শীতের সিন্ধু” , “শিশু যাদুকর” , “আমার ভাঙা নায়ে যাত্রী না লয়” , “গোপন প্রিয়া”, “বাতায়ন পাশে গোবাক তরুর সারী” , “আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ” (বিখ্যাত কালজয়ী গান) “কর্ণফুলী , হে সিন্ধু ! বন্ধু মোর” , “মধুমালা”, “সাতভাই চম্পা”র মতো অমূল্য অনেক কবিতা সহ অসংখ্য রচনায় রাউজানকে বহু উর্ধস্থানে আসীন করে ইতিহাস করে যান কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।

রাঙামাটিকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন- অসাধারণ একটা গানঃ

গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ ,
আমার মন ভোলায় রে…

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও অনবদ্য এক সংগীত সৃষ্টি করলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রূপসী রাঙ্গামাটিকে নিয়ে । মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গানের জবাবে নজরুল তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া নিচের গানটি লিখে দিয়ে গেলেন।

গানঃ-
রাঙামাটির পথে লো…
বাজে মাদল বাজে বাঁশের বাঁশী ,
– বাজে মাদল বাজে বাঁশের বাশী…