ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ :
Logo ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে বকুলবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল Logo নড়াইলের লোহাগড়ায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান ও গণ অধিকার পরিষদের ইফতার ও আলোচনা সভা Logo কবিতা : ভিন্নরূপে নারী Logo ফ্যাসিস্ট মনোভাব ও অবৈধ টাকায় শান্তি আসে না : কর্নেল হক Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন গণঅধিকারের পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূর কে Logo কবিতা: আযাব থেকে মুক্তি Logo কবিতা: বই ঘ্রাণে Logo কবিতা: বঙ্গ জয়ী জিয়া Logo কবিতাঃ পুরুষ প্রিয়জন নয় Logo কবিতাঃ কান পেতে শুনে নিও Logo তুমিই কবিতা Logo চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo বেলনা ৭নং ওয়ার্ড এর এলাকাবাসী ইসকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মিছিল Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নামে কামরুল ও রাসেল সরকারের প্রতারণা Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপদেষ্টা হলেন খাজা ওসমান ফারুকী সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা  Logo ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে- কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম Logo ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার দর পর্যবেক্ষণ Logo খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবজাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে: মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক Logo কবিতা : আশ্বিনা বৃষ্টি Logo কবিতা : মুগ্ধ নামের ছেলেটি

দারিদ্র্য বিমোচনে দান সদকার গুরুত্ব অপরিসীমঃ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

শাহজালাল সুজন, রাইটার: ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ভেদাভেদ ইসলামে কোন স্হান নেই। ইসলাম সলম ধাতু থেকে উৎপন্ন যার অর্থ হলো শান্তি। শান্তির দূত বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মানুষ কে মুক্ত করার জন্য যুগে যুগে শান্তির ধারক বাহক রূপে মহান আল্লাহ্ পাক নবী- রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নবী- রাসূলের জামানায় এই শান্তিই প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন যা বর্ণনাতীত।

তেমনি শেষ জামানায় মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ নবী এবং রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করেছেন শান্তির দূত হিসাবে। তিনি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ বৈষম্য ধনী গরীবের তারতম্য এই জিনিসগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য মানুষকে তার অমূল্য বাণী শুনিয়েছেন এবং ধর্মের দিকে দীক্ষিত করেছেন। সমাজের ভেদাভেদ বৈষম্য এগুলো দূর করার জন্য ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাগিদ রয়েছে আর এর বেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য সদকা, দান, খয়রাত এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকে দান, ছদকা, ফিতরা দেওয়া থেকে মানুষ বিরত।

কারণ মানুষ বর্তমান যুগে কৃপণতার বেড়াজালে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। রাসূল পাক সাঃ হাদিস পাকে বলেছেন কৃপণ ব্যক্তি আবেদ হলেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না তাহলে যার সামর্থ্য আছে দান করার সদকা দেওয়ার ফিতরা দেওয়ার অথচ সে কৃপণতার কারণে ধান থেকে বিরত রয়েছে এবং তার প্রতিবেশী কোন অবস্থায় কিভাবে দিন কাটাচ্ছে সেও খোঁজখবর সে নিচ্ছে না সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত এমনকি কোন কিছুই মহান আল্লাহ পাকের কাছে তার আমল গুলো গ্রহণ হবে না কারণ সে কৃপণ।

এই বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারলে দান সদকা ফিতরা সঠিকভাবে বন্টন করতে পারলে আমাদের সমাজ থেকে এই দারিদ্র্য বিমোচন অনেকটা লাঘব হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক বলেছেন আরশের ছায়ায় হাশরের মাঠে সাত ধরনের ব্যক্তি থাকবে তার মধ্যে দান বা সদকা কারী ব্যক্তিও ওই আরশের ছায়ায় থাকবে। আবুল খায়ের রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক হাশরের মাঠে যখন বিচারকার্য শুরু করবেন তথা বিচার কার্য শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দুনিয়াতে যে ব্যক্তি দান করেছেন ওই দানের ছায়ার নিচে ঐদিন অবস্থান করবে।
সুতরাং ধান যেমন দুনিয়াতে আত্মতৃপ্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং দুনিয়াতে এর যেমন মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাওয়া যায় ঠিক তেমনি শেষ জীবনে হাশরের মাঠেও মহান আল্লাহ পাক তাকে সম্মানের আশা প্রতিষ্ঠিত করবেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দারিদ্র্য বিমোচনে দান সদকার গুরুত্ব অপরিসীমঃ

আপডেট সময় : ০৩:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

শাহজালাল সুজন, রাইটার: ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ভেদাভেদ ইসলামে কোন স্হান নেই। ইসলাম সলম ধাতু থেকে উৎপন্ন যার অর্থ হলো শান্তি। শান্তির দূত বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মানুষ কে মুক্ত করার জন্য যুগে যুগে শান্তির ধারক বাহক রূপে মহান আল্লাহ্ পাক নবী- রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নবী- রাসূলের জামানায় এই শান্তিই প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন যা বর্ণনাতীত।

তেমনি শেষ জামানায় মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ নবী এবং রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করেছেন শান্তির দূত হিসাবে। তিনি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ বৈষম্য ধনী গরীবের তারতম্য এই জিনিসগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য মানুষকে তার অমূল্য বাণী শুনিয়েছেন এবং ধর্মের দিকে দীক্ষিত করেছেন। সমাজের ভেদাভেদ বৈষম্য এগুলো দূর করার জন্য ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাগিদ রয়েছে আর এর বেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য সদকা, দান, খয়রাত এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকে দান, ছদকা, ফিতরা দেওয়া থেকে মানুষ বিরত।

কারণ মানুষ বর্তমান যুগে কৃপণতার বেড়াজালে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। রাসূল পাক সাঃ হাদিস পাকে বলেছেন কৃপণ ব্যক্তি আবেদ হলেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না তাহলে যার সামর্থ্য আছে দান করার সদকা দেওয়ার ফিতরা দেওয়ার অথচ সে কৃপণতার কারণে ধান থেকে বিরত রয়েছে এবং তার প্রতিবেশী কোন অবস্থায় কিভাবে দিন কাটাচ্ছে সেও খোঁজখবর সে নিচ্ছে না সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত এমনকি কোন কিছুই মহান আল্লাহ পাকের কাছে তার আমল গুলো গ্রহণ হবে না কারণ সে কৃপণ।

এই বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারলে দান সদকা ফিতরা সঠিকভাবে বন্টন করতে পারলে আমাদের সমাজ থেকে এই দারিদ্র্য বিমোচন অনেকটা লাঘব হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক বলেছেন আরশের ছায়ায় হাশরের মাঠে সাত ধরনের ব্যক্তি থাকবে তার মধ্যে দান বা সদকা কারী ব্যক্তিও ওই আরশের ছায়ায় থাকবে। আবুল খায়ের রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক হাশরের মাঠে যখন বিচারকার্য শুরু করবেন তথা বিচার কার্য শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দুনিয়াতে যে ব্যক্তি দান করেছেন ওই দানের ছায়ার নিচে ঐদিন অবস্থান করবে।
সুতরাং ধান যেমন দুনিয়াতে আত্মতৃপ্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং দুনিয়াতে এর যেমন মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাওয়া যায় ঠিক তেমনি শেষ জীবনে হাশরের মাঠেও মহান আল্লাহ পাক তাকে সম্মানের আশা প্রতিষ্ঠিত করবেন।