কেরানীগঞ্জের অগ্রখোলায় ১২ বস্তা মানবদেহের ৫ টি মাথার খুলি সহ অসংখ্য হাড়গোড় পুকুরে।

- আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ২২২ বার পড়া হয়েছে

রেজাউল করিম রাজু, নিউজ রাইটার: আজ ৪ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা ও পুবভিটার পদ্মপুকুর ক্যাফের সামনের একটি পুকুর থেকে ১২ বস্তা মানুষের হার দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। যানা গেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পাশের ফেক্টরীতে কর্মরত মানুষরা এগুলো দেখে আতকে উঠে। এর পর শত শত মানুষ এ ঘটনা দেখতে আসেন। সেখানে দেখা মেলে ৫ টি মাথার খুলি সহ কয়েকশত হাড়গোড় দেখতে পাওয়া যায়। এর সাথে হাতপায়ের হাড়,বুক ও পাঁজরের হাড়, মেরুদণ্ড, আঙ্গুল সহ দেহের বিভিন্ন অংশের হাড়গোড়। সব মিলিয়ে কয়েকশত হাড় দেখতে পাওয়া যায় যা একেক ব্যাগে একেক রকম হাড় কোনটায় বড় কোনটায় ছোট কোনটায় মাঝারি বলে জানান স্থানীয়রা। এরই পাশেই বাচ্চার একটি পেন্ট ও মহিলার জামার একটি অংশ সহ বস্তা ও কাপড়ের বারোটি ব্যাগের দেখা মেলে। স্থানীয় বলেন এটা চঞ্চল্যকর ও অস্বাভাবিক ঘটনা, এ রাস্তাটি রাতে অনিরাপদ এখানে মাঝে মাঝেই চুরি, ছিনতাই সহ নানান ঘটনা ঘটে কয়েকজন বলেন এগুলো হতে পারে কোন কবরস্থানে চুরি হওয়া মানুষের হাড়, কেও বলেন কোন এক পরিবারের সবাইকে মেরে অনেক বছর পর এখানে ফেলে গেছে। অনেকে জানান এগুলো হতে পারে কোন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের দেহ সম্পর্কে শিক্ষা ও গবেষণায় যে কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়। তার মেয়াদ উত্তির্ন হাড়। আবার কেও কেও বলেন এগুলো জাদু টুনার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়রা এগুলো দেখে ৯৯৯ এ কল করেন। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হাজির হন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে দেখেন ৫ টি মাথার খুলি সহ অসংখ্য মানুষের হাড়গোড় যা রাবার দিয়ে বাঁধা ও হাতের হাড় গুলোতে তার দিয়ে বাঁধা অন্যান্য হাড়ে তারের স্পিং করা বাঁধা। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানান সঠিক তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো জাবে। কে বা কারা এগুলো ফেলে গেছে। এগুলো রাখা বা কারো কাছে থাকা মানেই বড় অপরাধ। পরবর্তী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এগুলো নিয়ে যাওয়া হয়।