ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ :
Logo ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে বকুলবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল Logo নড়াইলের লোহাগড়ায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান ও গণ অধিকার পরিষদের ইফতার ও আলোচনা সভা Logo কবিতা : ভিন্নরূপে নারী Logo ফ্যাসিস্ট মনোভাব ও অবৈধ টাকায় শান্তি আসে না : কর্নেল হক Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন গণঅধিকারের পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূর কে Logo কবিতা: আযাব থেকে মুক্তি Logo কবিতা: বই ঘ্রাণে Logo কবিতা: বঙ্গ জয়ী জিয়া Logo কবিতাঃ পুরুষ প্রিয়জন নয় Logo কবিতাঃ কান পেতে শুনে নিও Logo তুমিই কবিতা Logo চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo বেলনা ৭নং ওয়ার্ড এর এলাকাবাসী ইসকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মিছিল Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নামে কামরুল ও রাসেল সরকারের প্রতারণা Logo জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপদেষ্টা হলেন খাজা ওসমান ফারুকী সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা  Logo ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে- কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম Logo ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার দর পর্যবেক্ষণ Logo খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবজাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে: মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক Logo কবিতা : আশ্বিনা বৃষ্টি Logo কবিতা : মুগ্ধ নামের ছেলেটি

ভালোবাসার নকশী কাঁথা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

বিজুরী ইসলাম,রাইটার: নকশী কাঁথা এক প্রকার শিল্প। এক সময় নকশী কাঁথা প্রায় ঘরে ঘরে তৈরি করা হতো। আমার মা, বোন, ভাবীরাও খাওয়া-দাওয়ার পর ক্লান্ত দুপুরে সব কাজ সেরে ঘরের মেঝে, বারান্দা বা গাছের ছায়ায় মাদুর পেতে বসত নকশী কাঁথা নিয়ে।

গ্ৰামীন ঐত্যিহের অবিচ্ছেদ্য অংশ নকশী কাঁথা। কেবল সুই আর সুতোর কারুকাজ নয়,এ যেন চিরন্তন বাঙালির ভালোবাসার গল্প। সুঁচের ফোঁড়ে আর বাহারি রঙের সুতোয় বিভিন্ন নকশা স্হান করে নেয় নকশী কাঁথা। মা, বোনদের দেখেছি মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেন এসব কাঁথা। যেখানে নতুন আর পুরানো কাপড়ে তৈরি এসব কাঁথার সুঁচের ফোঁড়ে ভালো বাসা মিশে আছে।

তবে কালের বিবর্তনে নকশী কাঁথা এখন অনেক টা বিলীনের পথে। সময় ওপরিশ্রম বেশি হ‌ওয়ায় এবং মজুরি কম পাওয়ায় নকশী কাঁথা তৈরিতে গ্ৰামের নারীরা অনেকটাই বিমুখ হচ্ছেন। কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই গ্ৰামের মহিলারা নকশী কাঁথা তৈরি করছেন। এক একটি নকশী কাঁথা তৈরি করতে কখনো কখনো প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। সুঁইয়ের প্রতিটি ফোঁড়ে তৈরি করে এক একটি না বলা কথা। কতশত ইতিহাস আর গল্প। তখন গর্ব বোধ হয়। দেশের মাটির গন্ধ মাখা, গল্প গাঁথা মমতায় ঘেরা। প্রতিটি নকশী কাঁথার পিছনে কত শ্রম আর কত স্বপ্ন বুনে চলেছেন গ্রাম বাংলার নারীরা।

উপহার হিসেবেও নকশী কাঁথা খুব ভালো প্রচলন আছে । বাঙালি সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আজও মেয়ের বিয়েতে মা এমন মায়া মমতায় জড়ানো নকশী কাঁথা উপহার দেন । এই ধারা অব্যাহত থাকবে যুগযুগান্তর। ইতিহাস সাক্ষী হয়ে আছে ।

নতুন করে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে আরো কত কাহিনী । আমার বিয়েতে উপহার পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে । আমার শাশুড়ি ও আমাকে উপহার দিয়েছেন লাল কাপড়ের উপর রংবেরঙের লাল সুতার ভালোবাসায় গাঁথা ২টা নকশী কাঁথা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভালোবাসার নকশী কাঁথা

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

বিজুরী ইসলাম,রাইটার: নকশী কাঁথা এক প্রকার শিল্প। এক সময় নকশী কাঁথা প্রায় ঘরে ঘরে তৈরি করা হতো। আমার মা, বোন, ভাবীরাও খাওয়া-দাওয়ার পর ক্লান্ত দুপুরে সব কাজ সেরে ঘরের মেঝে, বারান্দা বা গাছের ছায়ায় মাদুর পেতে বসত নকশী কাঁথা নিয়ে।

গ্ৰামীন ঐত্যিহের অবিচ্ছেদ্য অংশ নকশী কাঁথা। কেবল সুই আর সুতোর কারুকাজ নয়,এ যেন চিরন্তন বাঙালির ভালোবাসার গল্প। সুঁচের ফোঁড়ে আর বাহারি রঙের সুতোয় বিভিন্ন নকশা স্হান করে নেয় নকশী কাঁথা। মা, বোনদের দেখেছি মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেন এসব কাঁথা। যেখানে নতুন আর পুরানো কাপড়ে তৈরি এসব কাঁথার সুঁচের ফোঁড়ে ভালো বাসা মিশে আছে।

তবে কালের বিবর্তনে নকশী কাঁথা এখন অনেক টা বিলীনের পথে। সময় ওপরিশ্রম বেশি হ‌ওয়ায় এবং মজুরি কম পাওয়ায় নকশী কাঁথা তৈরিতে গ্ৰামের নারীরা অনেকটাই বিমুখ হচ্ছেন। কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই গ্ৰামের মহিলারা নকশী কাঁথা তৈরি করছেন। এক একটি নকশী কাঁথা তৈরি করতে কখনো কখনো প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। সুঁইয়ের প্রতিটি ফোঁড়ে তৈরি করে এক একটি না বলা কথা। কতশত ইতিহাস আর গল্প। তখন গর্ব বোধ হয়। দেশের মাটির গন্ধ মাখা, গল্প গাঁথা মমতায় ঘেরা। প্রতিটি নকশী কাঁথার পিছনে কত শ্রম আর কত স্বপ্ন বুনে চলেছেন গ্রাম বাংলার নারীরা।

উপহার হিসেবেও নকশী কাঁথা খুব ভালো প্রচলন আছে । বাঙালি সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আজও মেয়ের বিয়েতে মা এমন মায়া মমতায় জড়ানো নকশী কাঁথা উপহার দেন । এই ধারা অব্যাহত থাকবে যুগযুগান্তর। ইতিহাস সাক্ষী হয়ে আছে ।

নতুন করে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে আরো কত কাহিনী । আমার বিয়েতে উপহার পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে । আমার শাশুড়ি ও আমাকে উপহার দিয়েছেন লাল কাপড়ের উপর রংবেরঙের লাল সুতার ভালোবাসায় গাঁথা ২টা নকশী কাঁথা।