ঝিনাইগাতীতে এলজিইডি রাস্তার জব্দকৃত কাঠ নিয়ে নয়-ছয়

- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

আল-আমিন, নিউজ রাইটার: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া-ফাকরাবাদ এলজিইডি রাস্তার কুছাইকুড়া সড়কের জব্দকৃত কাঠ নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনরুপ অনুমোদন ছাড়াই গোপনে কুছাইকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে রাসেল মিয়া ৫টি ইউক্ল্যাপটার গাছের মালিক সেজে উপজেলার নতুন মোল্লাবাড়ি এলাকার মো. আলাল মিয়াজির ছেলে ও কাঠ ব্যবসায়ী মো. নুর ছালেহ’র কাছে বিক্রি করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক এবং নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামানকে জানান।খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের লোকজন গিয়ে এলজিইডি সড়কের কর্তণকৃত ৫টি গাছ সনাক্ত সহ ১৭টি পিস জব্দ করে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন। ওইদিন বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান তার লোক মারফত জব্দকৃত ১৭টি পিসের মধ্যে নরমাল ৭পিস কাঠ এনে বাকি কাঠ ঘটনাস্থলেই রেখে আসেন। এরপর ২ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে কাঠ ব্যবসায়ী নুর সালেহ ঘটনাস্থলে রেখে আসা বড় ৫ টি পিস কৌশলে ভ্যানগাড়ি দ্বারা ঝিনাইগাতী বাজারে আনার সময় সাংবাদিকদের নজরে পড়ে। এ সময় কাঠ সহ ভ্যানগাড়ীটির গতিরোধ করে উপজেলা প্রকৌশলী ও ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দিলে তারা উভয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠগুলো পরিষদে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে ওই কাঠ ব্যবসায়ী সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে মোখিক অভিযোগ দেয়। পরবর্তীতে ৩মার্চ রবিবার বিকেলে পরিষদে জব্দকৃত কাঠগুলো দেখতে গেলে সেখানে ৫ টি গাছের ৫ টি মুল পিস ছাড়া বাকি ১২পিচ কাঠ দেখতে পায়।এতে সাংবাদিকদের মনে সন্দেহ হয় যে,গাছের মুল ৫টি পিস গেলো কোথায়?এ ব্যাপারে নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামানের কাছে জব্দকৃত ১৭ পিস কাঠের আসল ৫টি পিস কোথায়, জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই ৫ পিস কাঠ ব্যবসায়ী নুর সালেহ’র কাছেই আছে। এর বৈধতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান।উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ৫ টি গাছের মোট ১৭ টি টুকরা হয়েছে। সবগুলো মার্কিং করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুত জব্দকৃত কাঠগুলো পরিষদে এনে পরবর্তী কার্যক্রম নিলামের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।